২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। অর্থাৎ, এসব প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫১টি। এক বছরের ব্যবধানে শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ফলাফল প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
পাসের হারে এবারও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। টানা ১০ বছর ধরে এই সূচকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
এ বছর ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯। সে হিসেবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার কমেছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ১৯ লাখ।
বিশ্লেষকদের মতে, ফলাফলের এ অবনতির পেছনে কোচিংনির্ভরতা, দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা ও মনিটরিং ঘাটতির পাশাপাশি করোনাকালীন শিক্ষাক্ষতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন আনতে প্রয়োজন গভীর মূল্যায়ন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন:








