জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ফের ছাত্ররাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদসহ তিন নেতাকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের জবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন।
আহতরা হলেন—বাগছাস জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ, মুখপাত্র ফেরদৌস শেখ ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক। তবে ফারুকের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় উপস্থিত শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে ফয়সাল মুরাদ লেখেন, ‘ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ আমাকে লাথি মেরেছেন। সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ফেরদৌস ও ফারুকের ওপরও হামলা হয়। আমাকে “ছাত্রলীগ” বলে ট্যাগ দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। অথচ আমি ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলাম।’
বাগছাসের মুখপাত্র ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমি জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছি, ছাত্রদলের হয়ে সক্রিয় থেকেছি। অথচ আজ আমাকে “ছাত্রলীগ” বলে আক্রমণ করা হলো। এমন ট্যাগিং রাজনীতির জন্য কি আমরা আন্দোলন করেছিলাম?’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রফ্রন্ট, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ), জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ফেসবুকে একাধিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে ছাত্রদলের শাখা সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কারণ তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছিল।’
এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মহলে উদ্বেগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন:








