
নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদল এ দাবি জানায়। ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার এবং সাম্প্রতিক রাজনীতি বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। ক্রাইম সিনের জায়গাটি ভোর পর্যন্ত অরক্ষিত রাখা, রমনা কালীমন্দির, বাংলা একাডেমি ও তার আশেপাশের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়ার মতন অস্বাভাবিক বিষয়াবলি ঘটনাটিকে আরও সন্দেহজনক করে তোলে।’
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নানান উপায়ে লুকিয়ে থাকা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনীহা ও গাফিলতি প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই শহিদ সাম্যর মতো একনিষ্ঠ সহযোদ্ধাকে হারানোর পরে ভাঙা হৃদয় নিয়ে আজ আমাদের লক্ষ্য করতে হচ্ছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর পাশাপাশি আবাসিক হলসমূহেও নানান উপায়ে ছলে-বলে-কৌশলে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদেরকে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে, চিহ্নিত করে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের উপযুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা বারবার প্রকাশ করে এসেছে, সে রকম ক্যাম্পাস বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে । এছাড়াও ন্যাক্কারজনক নানান ঘটনা ঘটে যাবার পরেও তাদের গা-ছাড়া মনোভাবের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিধানে তাদের অযোগ্যতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: