সোমবার

১৯ মে, ২০২৫
৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আজাদ বাবু, আদালত প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৫ ১৬:১৬

শেয়ার

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী হালিমা সুলতানা জিনিয়া তিন সন্তানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ দেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজিদুর রোমান দুটি আবেদনে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর এম সালাহুউদ্দিন ইস্কান্দার নিষেধাজ্ঞার পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করেন।

আবু ইউসুফের নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতপূর্বক মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারসহ নিজ নামে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি তদন্তের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তার বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন দুর্নীতির রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য অভিযোগের সুষ্ঠ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

মোহাম্মদ আলীর নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। উক্ত নথির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন দুর্নীতির রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

banner close
banner close