
তিন দফা দাবিতে বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই সাংবাদিক। তারা এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
এরমধ্যে জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি মাহতাব হোসেন লিমন ফুসফুসে ইনফেকশন নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এরআগে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলেন। গতকালের আন্দোলনে মিছিলের সামনে থেকে নিউজ কাভার করছিলেন তিনি। তার খুব কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও বুকের ওপর টিয়ারশেল এসে পড়ে। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং তিনি জ্ঞান হারান। তৎক্ষণাৎ তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে যেয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন জবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি সুবর্ণ আসসাইফ। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এক্সরে করা হলে তার কাধের কলার বোন ভেঙে গেছে বলে জানা যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
তবে এই দুই সাংবাদিক হাসপাতালের বেড থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন।
এদিকে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর একটায় পুলিশ ব্যারিকেড ছেড়ে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দীন।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে, শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশদের বিচারের আওতায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: