
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। বাংলা এডিশন
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর মন্তব্য করেছেন "আমাদের সহকর্মীদের মধ্যে কয়েকজন এনসিপি গড়ে তুলেছে, মেক্সিমাম জনই সেখানে ঢুকছে ধান্ধাবাজির জন্য"।
গত সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে পুরান ঢাকার স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূর বলেন, এখানে গেলে (এনসিপি) একটা ফাইল নিয়ে গিয়ে অমুককে বদলি করা যাবে, অমুককে চাকরিতে ঢুকানো যাবে। প্রকৃত ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা অনেকের জন্য না। হয়ত সরকারের খুব ক্লোজ জায়গায় একটু বেনিফিট নিচ্ছে তবে সেটা কিছু লিমিটেড লোক ভোগ করছে, ঐ দরবেশের মতন কিছু লোক.....এমন গুটি কয়েকজন লোক ভিড়তেছে বেনিফিট নেয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে তারা রাজনীতি করেছেন, যখন দু'একজন ছাড়া তেমন কেউই তাদের সহযোগিতা করেনি। সেই সময়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ করলে অনেকের চাকরি হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নূর স্বীকার করেন যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তারা সরকার পতনের আন্দোলন করেননি। তবে তাদের চিন্তাভাবনা ছিল এই কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি বারুদ এবং একটি গ্যাসলাইন সংযোগ করলেই তা জ্বলে উঠবে। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে তাদের 'রাজনৈতিক লিগ্যাসি' হিসেবে উল্লেখ করেন।
নূর জানান, কোটা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হয়েছে। ৮ দফার বিষয়ে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতে থাকলেও গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের থেকে তাকে মেধাবী মনে হয়েছে এবং আন্দোলনের প্রথম পর্যায় থেকে তার সাথে আলোচনা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমানের সাথেও আলোচনা হয়েছিল। সালাউদ্দিন আহমেদের সাথে আলোচনার পরই তিনি ৮ দফা নাহিদকে মেসেজে লিখে দেন। তবে নিরাপত্তার কারণে সেই সময়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ ডিলিট করতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, তিনি পার্থ ভাইকে (আন্দালিব রহমান পার্থ) ছাত্রদের জন্য আর্থিক সহায়তার কথা বলেছিলেন, যেহেতু তার অনেক টাকা এবং ছাত্ররা ভালো আন্দোলন করতেছিল সেসময়। তাদের সকলেরই উদ্দেশ্য সরকার পতনের এবং পার্থ ভাই পরবর্তীতে সাহায্যও করেছিলেন। সেই সময়ের অনেক বাস্তবতা এখন বলা সম্ভব নয়, যা বললে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। সময় হলে সবাই তা জানতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ শাখা সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক ও রবিউল হাসান নয়ন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক, দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অপু মুন্সী, অর্থ সম্পাদক মো. নুহীন ফিল আল আমিন, সহ-অর্থ সম্পাদক ফাহাদুল ইসলাম নোবেল, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আসিফ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান হিমেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক তামিম হোসেন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ হাসানসহ অনুষদ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: