সোমবার

৫ মে, ২০২৫
২১ বৈশাখ, ১৪৩২
৭ জিলক্বদ, ১৪৪৬

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে, ১ দফায় উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিনিধি, ববি

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৫ ২০:৫১

শেয়ার

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে, ১ দফায় উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি : বাংলা এডিশন
 দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১ দফা ঘোষণা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
 
এর আগে ৪ দফা দাবি দেয় তারা।উপাচার্য ড.শুচিতা শরমিন ৪ দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ জন্মে।গত ৩০ এপ্রিল ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিস বিভাগের ৯বম ব্যাচের শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা হক জিমি  ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন।ঐ শিক্ষার্থী ৫ মাসে ৩ তিনবার উপাচার্যের দপ্তরে আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করার পরও কোনো সহায়তা পাননি। উপাচার্য এমন দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে শিক্ষার্থী উপাচার্যকে দায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়।৩ তারিখে দেয়া ৫ টি দাবির মধ্যে আরেকটি উপাচার্যকে অফিসটাইমে পাওয়া যায় না কেনো সে বিষয়ে জবাবদিহি। 
 
রবিবার শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক কর্মসূচির আলোকে সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে সাংবাদিকদের সামনে ১ দফার ঘোষণা দেন।লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেইখ বলেন"ভিসি আমাদের দাবি পূরন করতে চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ।তিনি বলেছেন আমরা মুচলেকা দেওয়ার পর মামলা তুলবেন।আমরা এমন হুমকির প্রতিবাদ জানাই।এছাড়াও আমাদের বোন জিমি তার দপ্তরে ৫ মাসে ৩ বার আবেদন করেও কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি।অবশেষে বোনটি মৃত্যু বরন করে।আমরা দেখতে পাচ্ছি উনি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরনে ঔদাসিন। কিন্তু আওয়ামী পূর্নবাসনে ব্যাস্ত।তাই আমরা তার পদত্যাগ চেয়ে ১ দফা ঘোষণা করছি।
 
এসময় সাংবাদিকদের সামনে ১ দফা ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ। আরেক শিক্ষার্থী রাকিন বলেন"যে ভিসিকে আমাদের দূর্ভোগের সময় পাইনা,সেই ভিসিকে আমরা আর চাই না "
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারফ বলেন "ভিসি ম্যাম আমাদের দাবিকে গত ২ সপ্তাহ ধরে অগ্রাহ্য করে চলেছেন।।আমাদের বোন জিমির মৃত্যুই প্রমান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মৃত।তাই আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
 
ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিসের শিক্ষার্থী শাহির খান বলেন," আমরা ভিসির দায়িত্বহীনতার প্রশ্ন তুলে মুখ খুলেই হাসিনার মতো মামলা দিয়ে দেন।এবার আমরা আর ১ দফা থোলো পিছপা হবো না।দেখি কতজনের নামে আপনি মামলা দিতে পারেন।"
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য শুচিতা শরমিন তার বাস ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন,"শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি ঢাকায় গতকাল জরুরি সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করি।যদিও গত১৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করা যায়নি।শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যে বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়েছে তা হলো,"
১।রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণ
২।১ সপ্তাহের মধ্যে রেজিষ্টাী নিয়োগ।
৩।অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি আদালত দেখবে।যেহেতু তিনি আইনর  আশ্রয় নিয়েছেন।
৪।বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিষ্ট চিহ্নিত করনে সিন্ডিকেটের ১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
৫।শিক্ষার্থীদের মামলার বিষয়টি হলো যারা মুচলেকা দিবে তাদের মামলা তুলে নেয়া হবে।যারা মুচলেকা দিয়েছি তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৬।জেবুন্নেসা হক জিমি কেনো আর্থিক সহায়তা চেয়েও পাননি তার জন্য তদন্ত করা হবে।

আরও পড়ুন:

banner close
banner close