
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের চৌদ্দ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এক সমন্বয়ককে সুবিধা দিতে বিভাগটি ইচ্ছাকৃতভাবে ফল প্রকাশে বিলম্ব করছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে মাস্টার্স অব ল (এল এল এম) ২য় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয় গত ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে কম্পারেটিভ কনস্টিটিউশনাল ল (ল-৫২০) পরীক্ষার মাধ্যমে এবং শেষ হয় ২৮ মার্চ ‘ল অব ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন’ (ল-৫২৫) পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
অভিযোগ এসেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মো. সাকিব হোসাইনকে সুবিধা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে একটি করে কোর্সে ফেল করানোর জন্য ফলাফল আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তারা ক্যাম্পাসে থেকে রাজনীতি করতে পারে।’
অবৈধ সুবিধা গ্রহণ ও শিক্ষকদের রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমন্বয়ক মো. সাকিব হোসাইনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘যে অভিযোগটি এসেছে তা মিথ্যা। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ফলাফল আটকে রাখিনি।’
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৪ মাসেও ফল প্রকাশ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা থিসিস ডিফেন্সের জন্য আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল। এছাড়াও এক্সটার্নাল শিক্ষকের কাছে খাতা যাওয়ার কারণে এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে দেরি হয়েছে। আমরা রেজাল্টগুলো পেয়ে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে বিষয়গুলো দেখে জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন: