শনিবার

৩ মে, ২০২৫
২০ বৈশাখ, ১৪৩২
৫ জিলক্বদ, ১৪৪৬

নিরাপত্তা কক্ষ ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে নিলো সহপাঠীরা

ববি প্রতিনিধি,বরিশাল

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৪২

আপডেট: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৪২

শেয়ার

নিরাপত্তা কক্ষ ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে নিলো সহপাঠীরা
ছবি: বাংলা এডিশন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আনন্দ মিছিল ও উল্লাস করেছে ছাত্রলীগমনা সহপাঠিরা। শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকা থেকে শাহরিয়ার সান নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আটতকৃত শিক্ষার্থী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ছিল।

আটক হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে মারধরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নিরাপত্তা কক্ষে দেড়ঘণ্টা ধরে আটকে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল করে তার সহপাঠী পরিচয়ধারীরা। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা সহপাঠী না, বিগত সময়ে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী শাহরিয়ারকে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত তার সহপাঠীরা তাকে নিরাপত্তা কক্ষের দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। যাকে আটক করে রেখেছিল সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ জানান, ‘জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলো শাহরিয়ার। তবে তাকে কারা ছাড়িয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে বের করলে বোঝা যাবে। এ ছাড়া এর আগে যারা ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল তাদের উপর্যুক্ত শাস্তি চাই।’

রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি রাকিব আহমেদ বলেন, ‘জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এই শাহরিয়ার সান। সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য আটকে রেখেছিল। কিন্তু তার সহপাঠীর নাম করে কিছু ছাত্রলীগ কর্মীরা তালা ভাঙার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়, যেটা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের অবস্থান এই ক্যাম্পাসে হবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম বাংলা এডিশনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। আমি এখন ব্যস্ত আছি। আমি এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাবো। তবে ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা কখনই তাদের প্রশ্রয় দেবো না।’

banner close
banner close