শুক্রবার

২ মে, ২০২৫
১৯ বৈশাখ, ১৪৩২
৫ জিলক্বদ, ১৪৪৬

৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ২২:৩৪

শেয়ার

৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের
অনশন প্রত্যাহার করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত অঙ্গীকার পাওয়ার ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন। তবে বুধবার পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব সংবাদ সম্মেলনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এর আগে বিকাল ৪টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এসে পৌঁছান।

সংবাদ সম্মেলনে একেএম রাকিব বলেন, আগামী বুধবার যে মিটিং হবে সেখানে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর হবে- এ মর্মে লিখিত অঙ্গিকার পেয়েছি। বাণী ভবন ও ডা. হাবিবুর রহমান হলে অস্থায়ী স্টিল বেজড ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের ভাতা দেয়ার ব্যাপারে যাচাই ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ফলে আমরা আমাদের অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

যেহেতু তারা ৩টি দাবির দুটি মেনে নিয়েছেন এবং একটি যাচাই করে দেখবেন, সেহেতু আমরা অনশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে বুধবারের মিটিংয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন থাকবে।

এর আগে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা বিপ্লবে বলীয়ান, নির্ভীক জবিয়ান, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, লজ্জা লজ্জা, ইউজিসি ইউজিসি, অনশন অনশন চলছে চলবে, কবে দিবা ক্যাম্পাস, প্রশাসন কী করে, আমার ভাই অনশনেসহ নানা স্লোগান দেন।

দুপুর দুইটায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এই চিঠিতে সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তর বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলা হয়।

সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ছাড়াও প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, আবাসন সমস্যা নিরসন নিয়ে আলোচনা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে গতকাল সকাল থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা বিকেলে সচিবালয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে অনশন চালিয়ে যেতে থাকেন।

রাকিব বলেন, যদিও আমরা অনশন প্রত্যাহার করেছি, তবে ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকবে। বুধবারের সভার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।

banner close
banner close