শুক্রবার

২ মে, ২০২৫
১৯ বৈশাখ, ১৪৩২
৪ জিলক্বদ, ১৪৪৬

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি রাবি অধ্যাপকের খোলা-চিঠি

প্রতিনিধি,রাজশাহী

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৯

আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:০২

শেয়ার

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি রাবি অধ্যাপকের খোলা-চিঠি
ড. ফরিদ উদ্দীন খান: সংগৃহীত

জুলাই-বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের বড় একটি অংশের অন্যতম আকাঙ্খা হয়ে দাড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতিকে নিষিদ্ধকরণ কিংবা সীমিতকরণ। বিগত দিনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির যে ভয়াল রূপ জাতি প্রত্যক্ষ করেছে, মূলত সেই আতঙ্ক ও আশঙ্কা থেকেই জনমনে ছাত্র রাজনীতির প্রতি বিরূপ ধারনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নানা সময়ে নানা অঙ্গনে সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও ব্যক্ত করেছেন ছাত্র রাজনীতি ও ক্যাম্পাসে কর্মরত শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে চর্চা হওয়া দলীয় রাজনীতির ব্যাপারে তাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

এ ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের বড় একটি সংখ্যা সর্বদাই ছিলো সরব।

এবার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি খোলা চিঠি লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান।

ড. ফরিদ উদ্দীন খান তার খোলা চিঠিটিতে বলেন, ‘আপনি বিশ্বের অনেক নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। এটি আমাদের জন্য সম্মানের এবং গর্বের। তবে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনোটিতেই দলীয় রাজনীতি নেই। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অন্যতম দাবি ছিলো শিক্ষাঙ্গনে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। আপনি চাইলে একটি নির্বাহী আদেশে সেটি করতে পারেন। কিন্তু এখন অবধি সেটি ঘটেনি।’

একই চিঠিতে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াতকে পূর্ববর্তী পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাহদীন মালিককে অপসারন করার ব্যাপারেও দ্বিমত প্রকাশ করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সমর্থন ও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের সমস্যাসমূহ নিয়ে সরব থাকতে দেখা যায়।

banner close
banner close