চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই–নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৫.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এই সময়ে রাজস্বে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই–নভেম্বর মাসে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
নির্দিষ্ট খাত অনুযায়ী, আমদানি ও রপ্তানি থেকে আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। ভ্যাট খাতে ২১.৯৭ শতাংশ, আমদানি-রপ্তানির শুল্কে ৫.২৮ শতাংশ এবং আয়করে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে তৃতীয় পক্ষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনটি প্রধান খাত—আয়কর, মূসক ও আমদানি-রপ্তানি—কোনো খাতেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি দেখা গেছে আয়কর খাতে, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে মাত্র ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানি শুল্কে ঘাটতি ৮ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এবং ভ্যাটে ঘাটতি ৩ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতি রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলেছে।
শুধু নভেম্বর মাসের হিসাবেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ওই মাসে ৩৬ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা, ঘাটতি ১১ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। তবুও এ মাসে প্রবৃদ্ধি ১৪.২০ শতাংশ ছিল।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, বাকি ৬৫ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:








