গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রত্যেকটি দিনই দর পরিবর্তন হওয়া শেয়ার ও ইউনিটগুলোর মধ্যে অধিকাংশের দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবগুলো কার্যদিবসেই সূচকের পতন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়লেও সূচকে পতন থামেনি। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির লেনদেন আরও তলানিতে নেমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবার ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, বিপরীতে ১৫৭টির দর কমেছে। আর ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়লেও আজ ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮২৬ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকটির এই অবস্থান গত ১৭ নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওইদিন লেনদেন শেষে সূচকটি ৪ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে ছিল।
এছাড়া, আজ ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট কমে ৯৯৯ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ১৮৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ২৯৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এক্সচেঞ্জটির এই লেনদেন গত ৭ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওইদিন ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
গত সপ্তাহ শেষে সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর লেনদেন প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, সোমবার ৪১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, মঙ্গলবার বিজয় দিবসের বন্ধ, বুধবার) ৩৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার) ৩৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ সবগুলো মূল্যসূচক কমেছে। এর মধ্যে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫৬১ পয়েন্টে নেমেছে। আর সিএসসিএক্স সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে নেমেছে।
আজ এক্সচেঞ্জটিতে মোট ১৫৩টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য ৪৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৪টির এবং ১৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে আজ ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
আরও পড়ুন:








