প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চার বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না কোম্পানিটি। এ ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যেও গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
তথ্যানুসারে, গত ১৬ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারদর ছিলো এক টাকা ৪০ পয়সা। এর পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় তিন টাকা ১০ পয়সায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ২১ গুণ।
ডিএসইর কর্মকর্তারা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট টেক্সটাইলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পান। সে তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ডিএসইর তথ্যানুসারে, কোম্পানিটির কারখানা ২০২২ সালের জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে। সিকিউরিটিজ আইনানুসারে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সে তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও স্টক এক্সচেঞ্জকে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানায়নি রিজেন্ট টেক্সটাইল।
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেছে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস। এর পর থেকে কোম্পানিটি কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। ফলে কোম্পানিটির প্রকৃত আর্থিক ও ব্যবসায়িক তথ্য জানতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। আলোচ্য অর্থবছরে রিজেন্ট টেক্সটাইলের আয় হয়েছিল ১১০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিলো ৮৬ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি, আগের হিসাব বছরের লোকসান ছিলো প্রায় চার কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিলো ৩১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫২ পয়সায়। আলোচ্য অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি রিজেন্ট টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:








