শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

১৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮

আপডেট: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৯

শেয়ার

১৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন বিকেলে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জালাল তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে এ সময় আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন ছিল না। এদিন সকালে ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) (তৎকালীন) ওবায়েদ উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ার।

দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সু-পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করে আসামিরা।



banner close
banner close