রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল ও আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের শিপমেন্ট পুড়ে গেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে শুধু তাদের আর্থিক হয়েছে এমন নয়, গুরুত্বপূর্ণ অন্যের অনেক চালান পুড়ে গিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে যাওয়াসহ এর প্রভাব মাঠ পর্যায়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যাপক হারে পড়বে। বিশেষ করে ওষুধ শিল্পের প্রচুর পরিমাণ কাঁচামাল আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যা শুধু আর্থিক ক্ষতির কারণ নয়, এসব কাঁচামাল দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জীবন রক্ষাকারী ওষুধসহ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করতেন।
গঠনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, আগুন নেভানোর কাজে গাফিলতি ছিলো। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে যেতে পারে নাই। ২০ থেকে ২৫ মিনিট কালক্ষেপণ হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে এর মধ্যে আগুন সারা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও কারগো ভিলেজের ভবনে এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের বাইশটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এখনো কাজ করছে। আর আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ দেখতে উপস্থিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা, উৎসুক জনতা এবং বিভিন্ন সংস্থার লোকজন।
এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া দুইটায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসাথে কাজ করেন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ-আনসার সদস্যরা।
সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি মূলত পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় যা আট নম্বর গেটের পাশে ছিলো। আর আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন:








