সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য পেট্রোবাংলাসহ গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবের ওপর আজ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ঢাকার বিয়াম ল্যাবরেটরিতে এ শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এরইমধ্যে সরকার সার কারখানায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিইআরসি বাড়তি দাম অনুমোদন করলেই সার কারখানাগুলোকে বাড়তি গ্যাস পেতে অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
সাধারণত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবগুলোতে একইসঙ্গে সব শ্রেণির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতো। কিন্তু এবারই প্রথম সার শ্রেণিকে আলাদা করে পেট্রোবাংলা ও সব গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বিশেষ এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাড়তি দাম ছাড়া সার কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। এবার সেই গ্যাসের দাম হবে প্রতি ঘনমিটার ২৪ টাকা।
বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৬ টাকা। একলাফে ২৪ টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, নতুন গ্যাসের সংস্থান করতে হলে এলএনজি আমদানি করতে হবে। এজন্য বছরে যে আর্থিক ব্যয় বাড়বে, তা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) পরিশোধ করতে হবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, সার কারখানায় ২০১৯ সালে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
এরপর ধারাবাহিকভাবে কয়েক ধাপে দাম বাড়িয়ে বর্তমান দাম ঘনমিটারপ্রতি ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিসিআইসি গ্যাসের বাড়তি দাম পরিশোধ করা থেকে বিরত রয়েছে।
আরও পড়ুন:








