রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি ভারতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০

শেয়ার

১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি ভারতে
ছবি: সংগৃহীত

এবার ১২ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ অনুমতির মেয়াদ রয়েছে আগামী পাঁচ অক্টোবর পর্যন্ত। সোমবার পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এই ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বা প্রায় ২০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ ২১টি প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। এই দুটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর ইলিশ রপ্তানি হওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে ২০১৯ সালে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ওই বছর চার লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। রপ্তানি আয় হয় ৩৯ লাখ ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা। গত সাত বছরে সবচেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই বছর ১৭ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয় এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার বা ১৩৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবারই ভারতে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের একটি চট্টগ্রামের কালুরঘাটের প্যাসিফিক সি ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি ৪০ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। তবে সিংহভাগই রপ্তানি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ইলিশ আমদানি করে মিয়ানমার থেকে। যেমন ২৪-২৫ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) দেশটি মিয়ানমার থেকে সাড়ে ছয় লাখ কেজি ইলিশ আমদানি করেছে। গড়ে ভারতের আমদানিমূল্য ছিল ছয় ডলার ২৩ সেন্ট। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার কেজি ইলিশ। গড় আমদানিমূল্য ছিল ১০ ডলার ৯৩ সেন্ট।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার সাড়ে ১২ ডলার বা এক হাজার ৫৩২ টাকা দরে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছে। এর মানে হলো, এর চেয়ে কমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। তবে চাইলেই বেশি দামে রপ্তানি করা যাবে।

এনবিআরের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম মূল্যে ইলিশ রপ্তানি হয়ে আসছে। ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইলিশ রপ্তানির নজির খুব কম।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম সব সময় ওঠানামা করে। বেশি পরিমাণে রপ্তানি করার আশায় অনুমোদন নিয়ে থাকেন রপ্তানিকারকেরা। তবে সব সময় স্থানীয় বাজারে দরদাম বিবেচনা করে রপ্তানি করতে হয়।



banner close
banner close