চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ (মাশুল) বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রায় ৪০ বছর পর রবিবার দিবাগত রাতে নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। মাশুল বাড়ায় ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সবমিলিয়ে এবার গড়ে ট্যারিফ বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪১ শতাংশের মতো। তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমান সময়ে ট্যারিফ বাড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগের।
চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫২টি খাতে মাশুল আদায় করা হয়। সেখান থেকে ২৩টি খাতে সরাসরি বর্ধিত হারে ট্যারিফ আদায় অনুমোদন হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য ভাড়া, টোল, রেইল, ফি ও মাশুলের ক্ষেত্রে নতুন ট্যারিফ তফসিল কার্যকর হয়েছে। মাশুলের ক্ষেত্রে ডলারপ্রতি বিনিময়মূল্য ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়লে মাশুলও বাড়বে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ডলার হিসেবে মাশুল আদায় করে।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সবচেয়ে বেশি মাশুল বেড়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে চার হাজার ৩৯৫ টাকা বেড়ে নতুন মাশুল দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কনটেইনারে মাশুল বেড়েছে গড়ে ৩৭ শতাংশ।
আবার কনটেইনারবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে আমদানি কনটেইনারের জন্য পাঁচ হাজার ৭২০ টাকা ও রপ্তানি কনটেইনারের জন্য তিন হাজার ৪৫ টাকা মাশুল বেড়েছে। প্রতিটি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রে মাশুল বাড়ানো হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। কনটেইনারের প্রতি কেজি পণ্যের জন্য মাশুল আগের এক টাকা ২৮ পয়সার সঙ্গে আরও ৪৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। সার্বিকভাবে শুধু ওঠানামাসহ কনটেইনার পরিবহন খাতেই মাশুল বেড়েছে ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ।
১৯৮৬ সালে সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।
আরও পড়ুন:








