রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১২

শেয়ার

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার মামলা
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চারটি মামলার সবগুলোতেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যশোরের নওয়াপাড়া শাখার সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ইনচার্জ খান মো. হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন, চার আমদানিকারক- মোছা. ফাতেমা বেগম (মেসার্স আয়শা ট্রেডিং), নাজমা খাতুন (মেসার্স তাহমিদ ট্রেডিং), মো. জাহাঙ্গীর আলম (মেসার্স এস এম কর্পোরেশন) এবং মো. শাহীন রেজা (মেসার্স এস রেজা এন্টারপ্রাইজ)।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা এলসির বিপরীতে কোনো ধরনের মার্জিন জমা না দিয়েই কয়লা আমদানি ও খালাস করে ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধিদণ্ড বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ক/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রথম মামলায়, ফাতেমা বেগম, নাজমা খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন রেজা এবং ব্যাংক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তারা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ৬২ কোটি ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

দ্বিতীয় মামলায়, তাহমিদ ট্রেডিংয়ের মালিক নাজমা খাতুন এবং হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে কয়লা আমদানির নামে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।

তৃতীয় মামলায়, এস এম কর্পোরেশনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম এবং হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অর্থ তারা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে কয়লা আমদানির নামে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া চতুর্থ মামলায়, এস রেজা এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহীন রেজা এবং হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তারা ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।



banner close
banner close