রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ২১:০৭

আপডেট: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ২১:০৮

শেয়ার

পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল কেবল মানুষের চলাচলকেই নয়, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিও সহজ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। এ বিষয়ে দুদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা জানান।

জাম কামাল খান বলেন, আমরা দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী যার মধ্য দিয়ে দুদেশের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানি, এবার আমাদের সামনে এগোতে হবে। দুদেশের মানুষ একে অপরকে জানে, একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত। আমরা যদি একটি সঠিক ব্যবসায়িক রোডম্যাপ তৈরি করতে পারি তাহলে অবশ্যই ব্যবসায় বাণিজ্য অগ্রগতি হবে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করতে অত্যন্ত আগ্রহী। পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। ২৪ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে, যার লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।

বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশ যতটা সম্ভব অন্য দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আশা করি উদ্যোক্তারা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দুদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। তবে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে ননট্যারিফ বাধা হ্রাস করা, বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পাকিস্তান হাইকমিশনের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাচে জাইন আজিজ, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ সালাম, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদ উল্লাহ ও পান রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম চৌধুরী।



banner close
banner close