হরতাল নেই, অবরোধও নেই। নেই কাস্টমস কিংবা বন্দর কর্মকর্তাদ বা কর্মচারীদের কোনো কর্মসূচি। তারপরও বন্দরে অসময়ে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বন্দরে ইয়ার্ডে প্রায় অর্ধ লাখ টিইইউসের কাছাকাছি কনটেইনার জমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অপারেশনাল কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ডেলিভারি কম থাকে। পাশাপাশি নিলামযোগ্য কনটেইনার ইয়ার্ডে পড়ে থাকা এবং রেলযোগে ঢাকা আইসিডিতে যথাসময়ে কনটেইনার পাঠাতে না পারায় বন্দরে এমন ভয়াবহ জটের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বন্দর কর্মকর্তাদের দাবি আগে চেয়ে ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা বেড়েছে। তাই আপাতত কনটেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধে হচ্ছে না। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে অপারেশনাল কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
জানা গেছে, বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা রয়েছে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস। তবে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১৫ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়। এ হিসেবে বন্দরে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ৪৯১ টিইইউস কনটেইনার রাখা যায়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার রয়েছে ৪৮ হাজার ৭৫২ টিইইউস। এ হিসেবে সক্ষমতার চেয়ে ৩ হাজার ২৬১ টিইইউস কনটেইনার বেশি রয়েছে। এর আগে গত সোমবার বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার ছিল ৪৮ হাজার ৪৯৪ টিইইউস এবং রোববার ছিল ৪৯ হাজার ১৩১টি টিইইউস।
তবে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আগের চেয়ে বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা বেড়েছে। একারণে আপাতত অসুবিধে হচ্ছে না। বন্দরে নিলামের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১০ হাজার টিইইউস কনটেইনার রয়েছে এবং ৩০০ ধ্বংসযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনার রয়েছে। আবার রেলের সংকটের কারণে ঢাকা আইসিডিগামী প্রায় দুই হাজার টিইইউস কনটেইনার জমে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কম হচ্ছে। এ দুই দিন যদি অন্য দিনের মতো ডেলিভারি হয়, তাহলে সংকট হবে না। আশা করি, সপ্তাহখানেকের
আরও পড়ুন:








