অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা, বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময়ে। গত মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশিরা।
যদিও ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষস্থান বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে। কখনো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কখনো যুক্তরাষ্ট্র, আবার কখনো যুক্তরাজ্য হয়ে উঠেছে রেমিট্যান্স প্রেরণে শীর্ষ দেশ। তবে গত দুই মাস এই প্রবাহে সৌদি আরবের অবস্থান আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে মোট ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার; যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ১৮ শতাংশ। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এছাড়া ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। চতুর্থ অবস্থানে মালয়েশিয়া ৩৪ কোটি ডলার এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। পর্যায়ক্রমে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় অন্য দেশগুলো হলো ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থ এসেছে সৌদি আরব থেকে—৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার, যা মাসিক মোট রেমিট্যান্সের ১৭.৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে—৩৭ কোটি ২১ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৩৩ কোটি ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের ১২.০২ শতাংশ; এতে দেশটি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যেখান থেকে এসেছে ২৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, যেখান থেকে এসেছে ২১ কোটি ৯ লাখ ডলার। এছাড়া শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশের তালিকায় এরপর রয়েছে কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং কাতার।
আরও পড়ুন: