বুধবার

৪ জুন, ২০২৫
২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
৮ , ১৪৪৬

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জুন, ২০২৫ ১৬:২২

আপডেট: ৩ জুন, ২০২৫ ১৪:১০

শেয়ার

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ
প্রতীকী ছবি
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, এই বাজেট জিডিপি’র ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টায় বিটিভির পর্দায় অর্থ উপদেষ্টা এ বাজেট পেশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ২০১৫ সালের পর অদ্যাবধি কোন বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য। পাশাপাশি, রাজস্ব আয় ও সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটা যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নও হবে এ বাজেটের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমি এখন আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কাঠামোর ওপর আলোকপাত করছি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর অব্যাহতি যৌক্তিকীকরণসহ মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, কর জাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ৯.০ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়নের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৩.৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস হতে এবং ১ লক্ষ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস হতে নির্বাহ করার প্রস্তাব করছি। আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা।

banner close
banner close