
আন্দোলনরত এনবিআর কর্মীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। ভাগ হচ্ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশের সংশোধন করা হবে।
রোববার রাতে ঐক্য পরিষদের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঐক্য পরিষদ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ঐক্য পরিষদের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তাই আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হতে পারে।
এনবিআর বিলুপ্তি অধ্যাদেশ জারির পর থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন সংস্থাটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ১৩ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট থেকে শুরু করে আংশিক কলম বিরতি এবং পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। রোববার এসে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ।
রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ডাক দেন। আগে আমদানি-রপ্তানি কর্মসূচির বাইরে রাখলেও সোমবার থেকে শুধু আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা ছাড়া সব বন্ধের ঘোষণা দেন। এতে টনক নড়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের। দেশের গবেষণা সংস্থা থেকে শুরু করে টিআইবি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতারা অধ্যাদেশের বিরোধিতা করলেও আমলে নেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ বাজেটের আগে সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় একমুখী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে একমত হয়েছে। এনবিআর বিলুপ্তির পরিবর্তে এনবিআরকে স্বতন্ত্র একটি বিভাগ মর্যাদার একটি বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে একমত পোষণ করেছে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে; রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: